ফ্যাসিস্ট হাসিনা দীর্ঘ ১৫টি বছর গোটা জাতির উপর নির্যাতন চালিয়েছে।
ছাত্র-জনতার তোপের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেও রয়ে গেছে প্রেতাত্মারা, তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে।
১০ মে ২০২৫ (শনিবার) বিকেলে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন- এক-দুজন নয়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অত্যাচারে লাখ লাখ মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। ১৫ বছর সে গোটা জাতির ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ২০ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছে। ১ হাজার ৭ শর বেশি মানুষকে গুম করেছে।মিডিয়া গুলোর বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। প্যাসিস্ট্রের মতের বাহিরে কোন সংবাদ প্রচার করতে পারেনি সংবাদ মাধ্যম গুলো।তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে ছয় বছর কারাগারে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছিল। আমাদের নেতা তারেক রহমান যার দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে রয়েছে, তিনি এখনো দেশে ফিরতে পারেননি। এই অবস্থার অবসান হয়েছে শুধু আমাদের তরুণ ভাইদের জন্য।
তিনি আরও বলেন, যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রচেষ্টায় প্রলোগ্রাউন্ড মাঠে আজ অভাবনীয় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রামকে আমরা সবাই বিশেষ চোখে দেখি, কারণ আপনাদের এই শহর থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।তিনি আরো বলেন, আজকে যারা সংস্কারের কথা বলতেছেন, কিসের সংস্কার।সংস্কার তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান করে গেছেন। একদলীয় সরকার থেকে বহু দলীয় মত প্রকাশের সরকার। মানুষের মৌলিক ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।